পৃথিবীতে সবাই বদলে যেতে পারে, কিন্তু মা কখনোই বদলায় না।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।[১] প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা।
ইসলাম ধর্মে মা !
আল কুরআনে বলা হয়েছে আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে। [৪] একটি হাদীসে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, মাতার পদতলে সন্তানের বেহেশত (স্বর্গ)। তাছাড়া একটি হাদীসে আছে তা হল মাকে তিন বার সেবা করার পর বাবাকে এক বার সেবা করা।
যে গর্ভ তোমাকে ধারন করেছে সে গর্ভধারিণী মায়ের প্রতি কর্তব্য কর ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর
- আল কুরআন
মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা
- হুমায়ূন আহমেদ
মায়ের অভিশাপ কখনো সন্তানের গায়ে লাগেনা। দোয়া গায়ে লাগে, অভিশাপ গায়ে লাগেনা। হাঁসের গায়ের পানির মত অভিশাপ ঝরে পড়ে যায়।
- হুমায়ূন আহমেদ
অসংখ্য কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ারটানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী আর মায়াবতীর কোনো পুরুষবাচক শব্দ নেই
- হুমায়ূন আহমেদ
মায়ের গায়ের গন্ধ – হুমায়ুন আহমেদ
“মায়ের গায়ে একটা গন্ধ থাকে ,ঘামে ভেজা
হোক কিংবা কোনো সুগন্ধির হোক ;
সুনির্দিষ্ট একটা ঘ্রাণ।
শুধু সন্তানরাই সে গন্ধ পায়।”
আমরা অনেকেই গন্ধ দিয়ে মানুষ চিনি, একটা মানুষের সঙ্গে একটা গন্ধ সেটা সুগন্ধির হোক বা তা নিজের সেটাকে আমরা একাত্ম করে নি, তাকে সেই গন্ধ দিয়েই চিনি; আর মায়ের ক্ষেত্রে সেটা হয় আরো জোরালো।
মায়ের কোনো বদল নেই।
“পৃথিবীতে সবাই বদলে যেতে পারে, কিন্তু মা কখনোই বদলায় না।”
মা আমাদের জীবনে এমন একজন যে আমাদেরকে ভালোবাসে এক্কেবারে তার নিজের অংশ হিসেবে, আর তা সঠিক অর্থেই আমরা সত্যিই তো তাঁদের নিজের অংশই হই, তাই তাঁর যে ভালোবাসা আমাদের প্রতি তা কখনোই বদলায় না।
মায়ের স্নেহ।
“মাগো কোনদিন বুঝিনি তুমি কতখানি জুরে ছিলে-
বুঝিনি আমার জীবনে তুমি
কতখানি ছিলে দামী ।
বুঝেছি তোমার স্নেহকে আজ মা,
মেয়ের পানেতে চেয়ে, স্নেহ যে নিম্নগামী “
বর্তমানে জীবনের গতির সঙ্গে মায়ের আদরের দৈর্ঘ্যও কমেছে বেশ, চাকুরীরতা মায়ের কাছে সময় একেবারে হিসেবে করা, তার বাইরে ইচ্ছে হলেও সময় যে হয়না। তাই কোথাও গিয়ে সম্পর্কের অনুপাত গুলো বদলে গেছে, তৈরী হয়েছে নতুন নতুন অনুপাত যা কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালোই বলা যায় আর এই বদলে যাওয়া মাতৃত্বেরও আছে এক অন্যরকম স্বাদ।